টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কেন্দ্রেগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকলে নির্ধারিত সময়ের পরেও টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা যায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩টি কেন্দ্রে তিন লাখ ৮৮ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টাঙ্গাইল শহরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের আটজন কর্মী ছাত্রীদের ও আটজন কর্মী ছাত্রদের টিকা দিচ্ছে। টিকা কার্যক্রমে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যসহ ৩৭ জন স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতা করছে। কেন্দ্রের বাইরে ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা দুটি লাইন করা হয়েছে।
শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় টিকা গ্রহীতাদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। এতে কোনো কোনো শিক্ষার্থীকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
টিকা নিতে আসা কালিহাতী উপজেলা মগড়া পালস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন দেখতে পাচ্ছি। আমিও প্রায় দুই ঘণ্টা দরে অপেক্ষা করেছি।’
১০ শ্রেশির ছাত্রী জুই আক্তার বলেন, ‘সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনে কয়েকশ’ ছাত্রী। সারাদিনে টিকা নিতে পারব কিনা তা জানি না। তবে টিকা কর্মীর সংখ্যা বাড়ালে আমাদের জন্য ভাল হয়।’
ছাত্র শাকিল আহমেদ বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় আজকে টিকা কেন্দ্রে এসেছি। আমার মতো অনেকেই এসেছে। ভীড়ের কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। প্রথম ডোজ টিকা নেব তাই একটু ভয়ও করছে।’
একই চিত্র দেখা গেছে জেলা সদরের রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রে। সেখানে স্বাস্থ্যবিভাগে ৬ জন টিকা কর্মী ও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী মাদ্রাসার ছাত্রীদের টিকা দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘জেলায় টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করতে শুক্রবারেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই টিকা কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় দেখা যাচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা টিকা কেন্দ্রে কর্মীর সংখা বাড়িয়েছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শনিবার টাঙ্গাইলে গণটিকার আওতায় এক লাখ নয় হাজার ৮০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।